আপনি যদি পোলট্রি ফার্মের মুরগিগুলোর ভীতিকর বিষয়গুলো জানতে পারেন, তাহলে পরের বার মাংস খাওয়ার আগে একটু চিন্তা করবেন৷ আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এসব মাংস ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া বিষয়ে একটা প্রতিবেদন। তাই চলুন আজকে দেখে নেওয়া যাক, এ ধরনের মাংস কী কী ক্ষতি করে-
১. অ্যান্টিবায়োটিকঃ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সাধারণত মানব শরীরে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেসব অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির শরীরে দেওয়া হয়ে থাকে। এসব মুরগির মাংস খাওয়া মানব শরীরে বাজে প্রভাব ফেলে। তাই মুরগি কেনার আগে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করে কিনুন। জানুন, এসব দেওয়া হচ্ছে কি না।
২. বৃদ্ধির জন্য হরমোনঃ আগেকার মুরগিগুলোর থেকে এখন অনেক চর্বিযুক্ত বড় মুরগি দেখতে পাওয়া যায়। এর কারণ হলো, মুরগিকে বড় করতে বেশির ভাগ সময় হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয়। মুরগির মাংসের মধ্যে থাকা এসব হরমোন মানব শরীরের ক্ষতি করে।
৩. ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিতঃ কেবল বিভিন্ন ওষুধ বা হরমোন ব্যবহার করাই নয়, গবেষণায় বলা হয়- ৯৭ ভাগ মুরগির বুকের মাংসে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকে। বেশির ভাগ মুরগিতে এই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়।
তাই মুরগির মাংস কাটাকাটি বা রান্নার পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মুরগির মাংস ভালোভাবে রান্না করুন। কেনার সময় প্লাস্টিকের ব্যাগে বহন করুন। মুরগির মাংস কাটার পর, রান্নার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
৪. বিষাক্ত আর্সেনিকঃ মুরগির মাংসের মধ্যে বিষাক্ত আসের্নিক পাওয়া যায়। এটি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হরমোন ও অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারের কারণে মুরগির মাংসে এসব আর্সেনিক পাওয়া যায়।