বেশ কিছুদিন ধরেই কাঠফাটা রোদ আর প্রখর তাপ ওষ্ঠাগত প্রাণ। বৃষ্টির
দেখা নেই। এই গরমে একটি সমস্যা খুব বেশি দেখা দেয় তা হল ঘামাচির
সমস্যা।ঘামাচির কারণে শরীর চুলকায়। কাপড় পরে শান্তি পান না আপনি। ঘামাচির
সমস্যা অনেকের থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে ঘামাচি তাড়াতে ঘরোয়া
উপায়ই যথেষ্ট।আপনি চাইলে প্রাকৃতিক উপায়ে তাড়াতে পাড়েন ঘামাচি। যাইহোক আসুন জেনে নেই ঘামাচি দুর করার কিছু সহজ উপায়-
কিছু উপাদান রয়েছে যেমন- টুকরো বরফ, অ্যালোভেরা, চন্দনের গুঁড়ো ও হলুদ গুঁড়ো ঘামাচি তাড়াতে বেশ কার্যকর। ঘামাচিতে আমরা সাধারণত বাজার থেকে কিনে আনি বিভিন্ন ধরনের পাউডার। কিছু পাউডার বা সাবান এই সমস্যা থেকে দূর করতে পারে বলে প্রস্তুতকারী সংস্থারা দাবি করলেও, তাতে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে। ফলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘামাচির সমস্যায় আরাম দিতে পারে ঘরোয়া উপায়। কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে ঘামাচির উপর ভালোভাবে লাগান। এতে ভালো ফল পাবেন। ৪ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। এরপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।এক কাপ ঠাণ্ডা পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার কাপড় ডুবিয়ে ঘামাচির উপর ১০ মিনিট পর্যন্ত রেখে আলতো হাতে মুছতে থাকুন।
ঘামাচি তাড়াতে অ্যালোভেরা ভালো কাজ করে। ঘামাচির উপর শুধু অ্যালোভেরার
রস বা হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে
ফেলুন। ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতা খুব ভালো কাজ করে। নিমপাতার রসের সঙ্গে
গোলাপজল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। ঘামাচি না চুলকে তার উপর নিমডাল বোলালেও
আরাম পাবেন। ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে
ঘামাচির উপর লাগান। ফল পাবেন খুব তাড়াতাড়ি। ৩ টেবিল চামচ ওটমিলের সঙ্গে
অর্ধেক টেবিলচামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। কিছুক্ষণ রেখে
ধুয়ে ফেলুন। এতে অনেক উপকার পাবেন ঘামাচির যন্ত্রনা থেকে।