হে ফিভার হলো হঠাৎ করে শুরু হওয়া অ্যালার্জির মতো। হে ফিভার বা অ্যালার্জি হলে সেই রোগীর অধিক পরিমাণে বার বার হাঁচি হতে থাকে। নাক দিয়ে সব সময় পানির মতো পড়তে থাকে এবং নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
এই রোগের উৎপত্তি সাধারণত ধুলাবালি, ফুলের রেণু, তুলার অাঁশ থেকে কিংবা রোগী সেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয় সেসব খাবার থেকে হয়ে থাকে। এই অ্যালার্জির কারণে হে ফিভার বা অনবরত হাঁচি হতে থাকে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগীদের এ ধরনের উপসর্গ বেশি দেখা যায়।
সাধারণত ঘাস ফুলের রেণু থেকেই বেশি অ্যালার্জি হয়ে থাকে। অনেক খাবার থেকে বা ধুলাবালি থেকে যদি অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় তাহলে প্রায় সারা বছরই এ রোগের উপসর্গগুলো দেখা যায়। এই রোগের নাম হে ফিভার হলেও অ্যালার্জির কারণে হাঁচিতে জ্বর হয়না।
রোগের লক্ষণঃ
হে ফিভার রোগ হলে রোগীর মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
* রোগীর চোখ চুলকায় এবং নাকের মধ্যে শিরশির করে।
* নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে এবং বার বার হাঁচি আসে।
* মুখচোখ ফুলাফুলা থাকে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।
* শরীরে কোনো জ্বর থাকে না।
চিকিৎসা এবং পরামর্শঃ
হে ফিভারের রোগীকে সতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে যেন ঠাণ্ডা বাতাস না লাগে।
* হাঁচি এবং নাকের পানি বন্ধ করার জন্য রোগীকে এন্টি হিস্টামিন গ্রুপের যেকোন ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা যায় ৷ তবে সচরাচর ক্লোরফেনিরামিন মেলিয়েট জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
যেমন, ট্যাবলেট আকারে যেগুলো দেওয়া হয় তাহলো : পিরিটন, এনটিসটা, ডিস্টামিন , হিস্টালেক্স, হিস্টাসিন, হিস্টাল ইত্যাদি।
এটা খাবার নিয়ম - প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট দুই থেকে তিনবার করে দেয়া হয়৷
প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থাঃ
সর্ব প্রথম ঠিক করতে হবে কোন জিনিস থেকে এই রোগের সূত্রপাত হয় সেটা আগে নির্ণয়ের চেষ্টা করতে হবে ৷ সাধারণত যে সব জিনিস থেকে এই রোগর সূত্রপাত তা থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখলে এই রোগ থেকে দুরে থাকা যায়।