কেমন আছেন সবাই? আজকে খুবই দরকারি একটা বিষয় নিয়ে হাজির হলাম। আজকের টিপস জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন সম্পর্কে। বিবাহিত নারী পুরুষদের জন্য জেনে রাখা খুবই দরকার। যেসব মহিলা অন্তত একটি সন্তানের মা হয়েছেন। দীর্ঘদিন কিংবা আর কোনদিন সন্তান নেবেন না। কিন্তু বন্ধ্যাকরন ব্যাপারে মনস্থির করতে পারছেন না। বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। প্রতিদিন মনে করে বড়ি খেতে পারেন না। বড়ি ব্যবহারে নিষেধ আছে বা বড়ি খেলে অসুবিধা হয়। এসব ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন নেওয়া প্রয়োজন। বাজারে বেশ কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন পাওয়া যায়। এসবের মাঝে সোমাজেক্ট, ডিপ্রোপ্রভেরা, নরিষ্টারেট, মোভেরা, মেডোজেন ইত্যাদি।
কখন ইনজেকশন নিবেন বা ইনজেকশন দেয়ার উপযুক্ত সময়:
১.মাসিক শুরু হবার প্রথম ৭ দিনের মধ্যে
২.গর্ভবতী নয় এটা নিশ্চিত হলে যে কোন সময়
৩.সন্তান হবার পর পরই অথবা ৬ সপ্তাহের মধ্যে
৪.এম.আর বা গর্ভপাতের (এ্যাবরশন ) পর পরই
৫.অন্য পদ্ধতি বন্ধ করার পর পরই নিতে পারেন।
বি:দ্র: কোন প্রয়োগ নিষেধ না থাকলে যে কোন মহিলা তার মেনোপজ না হওয়া পর্যন্ত সোমা-জেক্ট ইনজেকশন নিতে পারেন।
কোথায় পাবেন?
আপনার নিকটস্থ যে কোন থানা বা ইউনিয়ন পর্যায় সোমা জেক্ট জন্মবিরতিকরন ইনজেকশন পাওয়া যাবে। এছাড়া SMC Blue Star চিহ্নিত যে কোন ফার্মেসী বা ক্লিনিকে পাওয়া যাবে।
কিভাবে নিবেন
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবা দানকারী সাহায্যে ক্লিনিকে অথবা স্যাটেলাইটে ক্লিনিকে ইনজেকশন নেয়া যায়। এটি হাতের বা নিতম্বের মাংসপেশীতে নিতে হয়। ইনজেকশন প্রথম ডোজ মাসিক শুরু হবার পাঁচদিনের মধ্যে নিতে হয়। ডিপ্রোপ্রভেরা বা সোমাজেক্ট এর ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর অন্তর আর নরিষ্টারেট এর ক্ষেত্রে ২ মাস অন্তর অন্তর পরবর্তী ডোজ নিতে হয়। নির্ধারিত তারিখের আগে ১৪ দিনের মধ্যে বা পরে ১৪ দিনের মধ্যে দেয়া যেতে পারে। সন্তান প্রসবের ৬ সপ্তাহ পর থেকে ইনজেকশন নেয়া আরম্ভ করা যায়। গর্ভপাতের সঙ্গে সঙ্গে অথবা এমআর করার পরপরই ইনজেকশন নেয়া শুরু করা যেতে পারে।
সুবিধা:
* যে কোনো বয়সের মহিলা ইনজেশন দিতে পারেন।
* সহবাসের ব্যাঘাত ঘটে না।
* যে মহিলা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারাও ব্যবহার করতে পারেন।
* ইনজেশন নেবার ফলে যে সব মহিলা দীর্ঘদিন মাসিক বন্ধ থাকে তাদের রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে।
* মেনোপজ বা মাসিক অবসান পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
এর সাধারণ সাইড ইফেক্টগুলো হচ্ছে -
১) মাসিক বন্ধ থাকা।
২) দু মাসিকের মধ্যে ফোটা ফোটা রক্তস্রাব হওয়া।
৩) অনিয়মিত মাসিক হওয়া।
৪) সামান্য ওজন বেড়ে যাওয়া।
এছাড়া ইনজেকশন নেবার পর কিছু কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমন হলে অবশ্যই ডাক্তার কিংবা এফ ডাব্লুউ ভি এর কাছে যেতে হবে।
ইনজেকশনের জটিলতাগুলো হলো- ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা, ফোলা ও পুজ হওয়া। অতিরিক্ত রক্তস্রাব হওয়া তীব্র মাথা ব্যথা হওয়া। ওজন অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।