আপনি কি চান ফার্মেসীর ব্যবসা করবেন। আপনি জানেন এই ব্যবসা করতে গেলে আপনার কি করা লাগবে? এই ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু কোথায় পাবেন এই লাইসেন্স? না, অনেকেরই তা জানা নেই । তাই আজকের পোস্ট কিভাবে ড্রাগ লাইসেন্স করবেন ?
আপনাদের সকলকে হালকা হালকা শীতের আগমনী শুভেচ্ছা। কেমন আছেন এই শীতের আগমনে ? নিশ্চয় ভাল আছেন। তো কথা না বাড়িয়ে এবার মূল কথায় আসি।
বর্তমান সময়ে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসীর ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এ ব্যবসায় করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে লাইসেন্স করার। কারন ওষুধের দোকান বা ফার্মেসী খুলে বৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স নেয়া জরুরি।
কোথায় নিবেন?
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হয়। ঔষধ প্রশাসনের নির্ধারিত ফরম-৭ এর মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য। তার সাথে জমা দিতে হবে আপনাকে কিছু কাগজপত্র। চলুন জেনে নিই কি কি কাগজপত্র লাগবে --
১. ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদপত্র।
২. লাইসেন্স ফি জমা দেয়ার ট্রেজারী চালান।
৩. দোকান ভাড়ার রসিদ বা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। নিজস্ব দোকান হলে দলিলের ফটোকপি।
৪. ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারপত্র।
৫. পৌর এলাকার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
ফার্মাসিস্ট সনদের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে আপনাকে ছয় মাস মেয়াদী একটি কোর্স করে নিতে হবে। প্রতি তিন মাস পর পর ঔষধ প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তথ্যগুলো যাচাই বাছাই সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
লাইসেন্স ফি :
সাধারণত ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ফি জমা দিতে হয়। পৌর এলাকার জন্য এই ফি ৩,০০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে ১,৫০০ টাকা। প্রতি দুই বছর পর পর প্রাপ্ত লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। আর পৌর এলাকার জন্য এই নবায়ন ফি ২,০০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে ১,০০০ টাকা। নতুন লাইসেন্স নিতে গেলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। আর লাইসেন্স নবায়নের জন্য পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবস অপেক্ষা করতে হয়।
কোথায় যোগাযোগ করবেন?
এ সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য আপনি যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায় ।
ঔষধ প্রশাসন,
১০৫-১০৬, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা,
ঢাকা-১০০০।
টেলিফোন নং : ৮৮০-২-৯৫৫৬১২৬, ৯৫৫৩৪৫৬
ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯৫৬৮১৬৬
ই-মেইল:drugs@citech.net
ওয়েবসাইট: www.dgda.gov.bd