আজকে যে বিষয়টি নিয়ে হাজির হয়েছি তা নিয়ে সবার মনেই কৌতূহল আছে। আমাদের দেশের এমন কেউ নেই যে ফরসা সুন্দর বাচ্চা কামনা করেনা। তাই কিভাবে গর্ভের বাচ্চা ফরসা হবে, কি খেলে বাচ্চার ত্বক ফরসা হবে তা নিয়ে আজকের এই পোস্ট।
গবেষকরা বলছেন, মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ই সন্তানের গাত্র বর্ণ নির্ধারিত হয়। গায়ের বর্ণ ফর্সা হবে না কালো, এর জন্য দায়ী ২-৩টি বিষয় –
১) বাবা-মায়ের জিন,
২) মেলানিন হরমোনের নিঃসরণ,
৩) জায়গা ও আবহাওয়া।
আরও একটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন গবেষকরা। গর্ভবর্তী মায়ের খাদ্যাভাস। তিনি কী খাবার খাচ্ছেন, তার উপরও নাকি সন্তানের বর্ণ নির্ভর করে। আমাদের দেশে ফর্সা হওয়া একটা বড় গুণ (যদিও বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির এতে কোনও কৃতিত্বই নেই)। তবুও ব্যক্তির দোষগুণ বিচারে, তাকে গ্রহণ করার ব্যাপারে চামড়ার রং কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এটাই এ দেশের মানুষের মানুষিকতা। ফলে ফেয়ারনেস ক্রিমের চাহিদাও এ দেশে ব্যাপক । তাই সানস্ক্রিন মেখে রোদে বেরানো, ডাল বাটা, দুধের সর মুখে মাখার খুব ধুম। তাছাড়া কালো মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না কেউ। এমতবস্থায় কোনও শিশু যদি ফুটফুটে দুধের মত রং নিয়ে জন্মায়, এমনিতেই তার কদর বেড়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় মাকে খেতে হবে এমন সব খাবার, যা শিশুর বর্ণ করবে দুধে আলতা রং । যেমন-
১. গর্ভের শিশুর ত্বক ভালো করতে মাকে খেতে হবে রোজ কমলালেবু। এতে করে শিশু ফরসা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. শিশুকে সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রে থেকে বাঁচাতে গর্ভবতী মাকে খাতে হবে টোম্যাটো যাতে বাচ্চার ত্বকে কোন প্রভাব না পড়ে।
৩. শিশুর ত্বক উজ্জ্বল করতে মাকে রোজ খেতে হবে চেরি ও বেরি ফল।
৪. গর্ভাবস্থার ৪,৫,৬ মাসে রোজ নিয়ম করে মা যদি ডিমের সাদা অংশ খান সন্তানের গৌর বর্ণ হবেই। কুসুমও খেতে পারেন, তাতেও কাজ হবে ।
৫. গর্ভাবস্থার ৯ মাসই যদি কোনও মা নিয়ম করে দুধে জাফরান মিশিয়ে খান, তাহলে তার সন্তান ফর্সা হবে।
৬. ঠাকুমা, দিদিমাদের মুখের শোনা কথা, গর্ভবতী মাকে যদি নারকেলের সাদা শাঁস নিয়ম করে খাওয়ানো হয়, তবে সন্তান নাকি খুব ফর্সা হয়।
তবে অতিরিক্ত নারকেল না খাওয়াই ভালো। এতে ক্ষতি হতে পারে।
তো আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আপনারা ভাল থাকবেন।