মায়ের গর্ভের যে শিশুটি আছে তা ছেলে না কি মেয়ে হবে এ নিয়ে সবারই প্রায় কৌতূহল জাগে। মা-বাবারও জানার আগ্রহের কমতি থাকে না। তাই আজকে এই বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করছি। আমরা কিছু বিষয় নিয়ে ভেবে একটু চেষ্টা করলে আগেই জানতে পারব।
অনেক মা আছেন যারা একটু চালাক তারা তাদের গর্ভের সন্তান সম্পর্কে আলট্রাসনোগ্রাম করার আগেই জানতে পারেন। কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব হয়, আজকে আপনারা তা জেনে নিন-
১. কোন খাবারের প্রতি আকর্ষণ :-
বেশীরভাগ মহিলা গর্ভাবস্থায় হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন। যার ফলে তাদের মাঝে বিভিন্ন খাবারের প্রবল ইচ্ছা জাগে। এ ইচ্ছা থেকেই আপনি জানতে পারবেন গর্ভস্থ শিশুটি কি হবে। যেমন: গর্ভবতী নারীর যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার ইচ্ছা হয়, তাহলে মেয়ে হতে পারে আর যদি নিমকি কিংবা মসলা জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা হয়, তাহলে ছেলে হতে পারে।
২. পেটের সমস্যা :-
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের গর্ভাবস্থায় সকালে হালকা বমি বা অন্য কোন সমস্যা হয় নি তাদের ছেলে হয়েছে। আর, শিশুটি মেয়ে হলে পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং সকালে শারীরিক অসুস্থতা বেশি বৃদ্ধি পায়।
৩. পেটের বাচ্চার অবস্থান :-
গর্ভাবস্থায় পেট বেশি ভারী মনে হলে, মেয়ে শিশু হবে। আর যদি ভারী কম মনে হয় তাহলে ছেলে হবে।
শিশুটি যদি পেটের ডানদিকে আছে বলে মনে হয়, তাহলে মেয়ে হবে।
আর যদি সমস্ত পেট জুড়ে বা বামদিকে অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে।
৪. বাচ্চার হার্টবিট রেট :-
ডাক্তারের নিকট চেক আপের সময়, যখন ডাক্তার গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন তখন লক্ষ্য রাখুন, হৃদস্পন্দনের রেট কত।
হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।
৫. ব্রেক আউট :-
গর্ভাবস্থায় নারীর ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা তার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? এরকম হলে অবশ্যই মেয়ে হবে। কারন আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা নাকি মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে খারাপ হয়ে যায় । যদিও তা কুসংস্কার।
৬. রিং টেস্ট :-
একটি আংটি নিয়ে সুতার সাথে বেঁধে নিন। তারপর গর্ভবতী নারীকে শুইয়ে দিন এবং তার পেটের উপর আংটিটি ঝুলিয়ে দিন। এবার আংটিটির গতিবিধি লক্ষ করুন। যদি আংটিটি মাথা ও পায়ের দিকে সমান তালে দুলতে থাকে, তাহলে শিশুটি মেয়ে হবে। আর যদি রিংটি গোল গোল ঘুরতে থাকে তাহলে ছেলে সন্তান হবে।
৭. শিশুদের উপদেশ নিন :-
গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় অনেক আপনজনেরা পেটের সাথে কান লাগিয়ে শিশুটিকে অনুভব করতে চায়। অনেক ছোট ছোট শিশু আছে, যারা পেটের সাথে কান লাগিয়ে কথা বলতে চায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন, যদি কোন ছেলে শিশু পেটে কান লাগিয়ে বার বার শিশুটিকে অনুভব করতে চায়, তাহলে মেয়ে হবে। আর যদি কোন মেয়ে শিশু এ কাজটি করে, তাহলে ছেলে শিশু হবে। এই বিষয় গুলো লক্ষ্য করলে যে কেউ ডাক্তার বলার আগেই বুঝতে পারবেন, কে আসছে গর্ভবতী মায়ের কোলে।
৮. সোডা পদ্ধতি :-
প্রথমে একটি পাত্রে ২ চা চামচ পরিমাণ বেকিং সোডা নিন, এবং তাতে ভ্রুনের বয়স যখন সাত সপ্তাহ কিংবা তার উপর সে সময়কার সকাল বেলার খালি পেটে থাকা অবস্থায় ১কাপ পরিমাণ প্রস্রাব সংগ্রহ করুন।
এখন সেই প্রস্রাব এর মধ্যে ঐ বেকিং সোডা ঢেলে দিন।
রেজাল্ট :
ক) যদি বেকিং সোডা পস্রাবের সাথে মিশে কোন বিক্রিয়া না করে হাল্কা বুদবুদ উঠে এবং নিচে তলানি জমা হয় ও উপরে স্বচ্ছ পস্রাব দেখা যায় তবে সেটা মেয়ে সন্তান হবে নির্দেশ করে।
খ) যদি বেকিং সোডা পস্রাবের সাথে মিশে প্রথমে ঝাজিয়ে উঠে বিক্রিয়া করে ও ফেনার স্তরের সৃষ্টি হয় তবে সেটা ছেলে সন্তান হবে নির্দেশ করে।
ছেলে ও মেয়ের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই। তবে, জানার আগ্রহ ও কৌতূহল মেটানোর জন্য এই পদ্ধতি। তবে সবকিছুর উর্ধে মহান স্রষ্টা। তিনি চাইলে সবকিছু করতে পারেন। তাই তার উপর ভরসা রাখা উচিৎ। এই পদ্ধতি গুলি সবসময় ঠিক নাও হতে পারে।
সূত্র : ইন্টারনেট।