তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

জেনে নিন কেউ কারেন্ট শক (electric shock) খেলে কি করবেন



আমরা জানি মানবদেহ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। বিদ্যুৎ প্রবাহ রয়েছে এমন কোনো খোলা তার বা বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে এলে তাই সহজেই দেহে বিদ্যুতায়ন হতে পারে। প্রচলিত ভাষায় যাকে বলে কারেন্টে শক খাওয়া বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া। আমাদের দেশে এ ধরণের ঘটনা খুবই সাধারণ। কারেন্টে শক খেয়ে বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেকেই আঘাত প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। কখনো বা বাড়ির ছোটখাট বৈদ্যুতিক কাজ করতে গিয়ে অসতর্কতা বশত এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এটা খুবই ভয়াবহ ব্যাপার । এমনকি এ কারনে ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটতে পারে।
তাই আসুন জেনে নেই কেউ কারেন্টে শক খেলে বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাৎক্ষণিক ভাবে আমাদের করণীয়গুলো কি? চলুন সংক্ষেপে তা জেনে নেয়া যাক-

কেউ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে করণীয়:

১.বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির গায়ে হাত দেওয়া যাবে না।
২.বৈদ্যুতিক সুইচ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।
৩.সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে শুকনো খবরের কাগজ, উলের কাপড়, শুকনো কাঠের টুকরা অথবা রাবার দিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে ধাক্কা দিয়ে আলাদা করতে হবে।
৪.ধাক্কা দেওয়া এবং সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে দ্রুত বৈদ্যুতিক অফিসে খবর দিতে হবে।৫.বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির গায়ে কখনোই পানি দেওয়া যাবে না।
৬.বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির গলা, বুক ও কোমরের কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে।
৭.বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির হৃদপিণ্ডের সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে মনে হলে দ্রুত তার বুকের ওপর জোরে জোরে চাপ দিতে হবে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে সিপিআর(CPR)।
৮.বিদ্যুতস্পৃষ্ট ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্ততপক্ষে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব না হয় ততক্ষণ এটা করতে হবে।
৯.রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া আমাদের দুর্ঘটনা থেকে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
১.ভেজা শরীরে বা হাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ধরা যাবে না।
২.খালি পায়ে ভেজা জায়গায় দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের কাজ করা যাবে না।
৩.বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় অবশ্যই স্পঞ্জ বা রাবারের জুতা পরে নিতে হবে।
৪.প্রয়োজনে মেইন সুইচ বন্ধ করে বৈদ্যুতিক কাজ করতে হবে।
এছাড়া ও আমাদের ছোট ছেলে মেয়ে, ভাই বোনকে সাবধান রাখতে হবে যাতে তারা কারেন্ট নিয়ে খামখেয়ালি না করে।