তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

মধুর ১২টি জাদুকরি উপকারিতা





প্রাচীন কাল থেকেই ঔষধ হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে চাইনিজরা প্রতিদিন দুধ ও মধু মিশিয়ে সেটা রুটি দিয়ে খেতো। এটা তাদের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। আবার কেউ কেউ হালকা গরম পানিতে মধু দিয়ে অথবা চায়ের সাথে মধু দিয়ে খেতো। এখনও এই অভ্যাস অনেক চাইনিজদের মধ্যেই দেখা যায়।
সকাল বেলা এক চামচ মধু আপনার দিনের শুরুটাকে মধুর মত মিষ্টি করে দিবে। শুধু তাই নয়, মধুর আছে অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। রূপ চর্চা থেকে শুরু করে রোগের ঔষধ তৈরীতে মধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসুন জানা যাক ১ চামচ মধুর উপকরীতা সম্বন্ধে-

১)মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট নামে এক ধরনের যৌগ। যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কাজ করে। এ যৈগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে।যার জন্য বার্ধ্যকের হাত তেকে ও অনেকটা রেহাই পায় ত্বক। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু চায়ের সাথে খেলে উপকার আছে। ত্বকের জন্য প্রতিদিন ১ চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু ত্বকের মৃত কোষ দুর করে ত্বককে করে আরো মসৃণ।
২)মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এই জন্য কাটা, ক্ষত ও পুড়ে যাওয়া জায়গায় চিকিৎসার জন্য মধু ব্যবহার করা হয়। মধু ব্যবহারের ফলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায় এবং ক্ষত স্থান মসৃণ করে দেয়।
৩)মধুতে অ্যান্টিফাঙ্গাল নামক আরএকটি উপাদান আছে যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। ত্বকে চর্মরোগের জন্য ক্ষত স্থানে নিয়মিত মধু লাগান দেখবেন খুব দ্রুত নিরাময় হবে।
৪)মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ আছে । এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ত্ককে রক্ষা করে। মধু একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। ১ চামচ মধুর সাথে হালকা পানি মিশিয়ে রোদে পোড়া স্থানে লাগালে রোদে পোড়া দাড় দূর হবে।
৫)মধু শরীরের শক্মতি সরবরাহ করে। কারণ মধুতে রয়েছে শুক্ধুত বর্তেধক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু খান, দেকবেন আপনার দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর হবেও আপনাকে রাখবে এনার্জিতে ভরপুর।
৬)প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৭) ঠোট আকর্মষনীর ও নমনীয় করতে রাতে ঘুমানোর আগে ঠোটে মধু লাগান। মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তোলে।
৮)মধুর ভিটামিন B1, B2, B3, B4, B6, আয়োডিন(I), দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৯)চায়ের সাথে বা হালকা গরম পানির সাথে মদু মিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
১০)প্রতিদিন মধু খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।
১১)মধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়।
১২) প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। কুশকি দূর হবে।